রাজশাহী জেলার ১০টি দর্শনীয় স্থান এবং বিখ্যাত খাবার

সাজেক ভ্যালি কোন জেলায় অবস্থিতরারাজশাহী জেলার দর্শনীয় স্থান আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব। আপনি যদি রাজশাহী জেলার এসব দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে না জানেন তাহলে এ পোস্টটি হতে যাচ্ছে আপনার জন্য অনেক খুবইগুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকে পুরো পোস্ট জুড়ে থাকছে রাজশাহী জেলার দর্শনীয় স্থান ও রাজশাহীর বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত যা যানা একজন ভ্রমণ প্রেমে মানুষের জন্য খুবই জরুরী।
multiplebd-রাজশাহী-জেলার-দর্শনীয়-স্থান

পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত বাংলাদেশের এক ঐতিহ্যবাহী যারা রাজশাহী। রেশমি পোশাক ও আমের শহর হিসেবে বেশ জনপ্রিয় এ রাজশাহী। এ রাজশাহী জেলায় অনেক জনপ্রিয় দর্শনিয় স্থান রয়েছে। যেগুলো আপনাকে মুগ্ধ করবে দারুন ভাবে। তো চলুন জেনে আসা যাক রাজশাহী জেলার ১০ টি দর্শনীয় স্থান নিয়ে বিস্তারিত। .

ভূমিকা 

একজন ভ্রমণপ্রেমি মানুষের জন্য দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বা একজন সাধারণ মানুষ ও যদি কোন দর্শনিয় স্থানে ঘুরতে যেতে চাই তাহলে অবশ্যই জানতে হবে তার জেলা বা শহর বা তার দেশের দর্শনীয় স্থান কোনগুলো।নইতো প্রচুর টাকা ও ঘুরতে যাওয়ার প্রবল আকাঙ্খা বা মনোবল থাকলেও দর্শনীয় স্থানে যেতে পারবে না।  

কারণ সে জানেই না দর্শনীয় স্থান কোনগুলো ।আপনিও কি জানেন না আপনার শহরের দর্শনীয় স্থান কোনগুলো ? চিন্তার কারণ নেই আজকের পোস্টে আমরা দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে আলোচনা করতে যাচ্ছি। তাহলে চলুন যেনে আসা যাক রাজশাহীর সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান কোনগুলো - 

রাজশাহী জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ 

রাজশাহী জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলিয় সীমান্তবর্তী একটি জেলা। এই জায়গাটির রাজশাহী বিভাগীয় অন্তর্গ। রাজশাহী জেলা বাংলাদেশের জেলা গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি প্রধান একটি জেলা। আমের রাজ্য হিসেবে পরিচিত ছাড়াও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জেলা হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিত এই রাজশাহী।

রাজশাহী জেলাকে শিক্ষা নগরী ও রেশমের নগরি ও বলা হয়। প্রাচীন বাংলার ইতিহাস সমৃদ্ধ এ রাজশাহী শহরে রয়েছে বিখ্যাত সব দর্শনীয় স্থানগুলো। যা অন্য কোন জায়গায় খুঁজে পাওয়া যায় না। তো চলুন জেনে আসা যাক পদ্মার তিড়ে অবস্থিত এই রাজশাহী জেলার দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে-

সাফিনা পার্ক

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উজেলায় অবস্থিত সাফিনা পার্ক। গোদাগাড়ী থেকে সাফিনা পার্কের দূরত্ব ৯ কিলোমিটার। নানা রকম ফুল ফল ও ওষুধে গাছ দিয়ে ঘেরা এ পার্কের ভেতরে রয়েছে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি বিভিন্ন পশু পাখির ভাস্কর্য। যেকোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সাবিনা পার্কের ভেতরে রয়েছে দুইটা পিকনিক স্পট। মঞ্চের ব্যবস্থা সহ রয়েছে কনফারেন্স রুম। 

রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান গুলোর মাঝে অন্যতম এক স্থান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে এই সাফিনা পার্ক।বর্তমানে এ সাফিনা পার্ক বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা 

চিড়িয়াখানার প্রধান প্রবেশ গেটে জিরাফের এক বিশাল ভাস্কর্য চোখে পড়ে। নানা রকম ফুল ফল ও ওষুধে ঘেরা এই পার্কের মধ্যে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য ও নান্দনিক ব্রিজসহ একটি ছোট্ট লেক।চিড়িয়াখানাই অনেক রকম পশু পাখি রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য - বালিহাঁস,ঘোড়া, হরিন,অজগর সাপ, কুমির সহ বিভিন্ন জলজ স্থলজ পশু পাখি। 

পার্কের ভেতরে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য প্যাটেল বোর্ড নাগরদোলা সহ বেশ কিছু আকর্ষণীয় রাইড রয়েছে। রাজশাহীর স্থানীয় দর্শনার্থী ছাড়াও প্রতিদিন বনভোজন ও শিক্ষা সকলের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী ও পর্যটকদের সমাগম ঘটে। তাইতো রাজশাহী জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর অন্যতম এক দাবিদার এ চিড়িয়াখানাটি। 

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর 

রাজশাহী শহরের কেন্দ্র অবস্থিত বরেন্দ্র জাদুঘর। যেটি বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। প্রত্নত্ব তালিকায় বরেন্দ্র জাদুঘর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম। ১৯১০ সালের নাটোরের দিঘাপতিয়ার জমিদার শরৎ কুমার রায়,আইনজীবী অক্ষয় কুমার মৈত্র এবং রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক রামপ্রসাদ চন্দ্র বাংলার ঐতিহ্যবাহি নীদর্শন সংগ্রহ করেন ।

এবং বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে ৩২ টি দুষ্প্রাপ্য নিদর্শন সংগ্রহ করে। পরবর্তী সময়ে ১৯১৩ সালে বরেন্দ্র জাদুঘর নিজস্ব ভবনে যাত্রা শুরু করে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ছাড়াও, মহাত্মা গান্ধী সহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ বরেন্দ্র জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন। তাইতো বাংলাদেশে যতগুলো জাদুঘর রয়েছে তার ভেতরে অন্যতম এই রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর ।

শিশু পার্ক রাজশাহী 

রাজশাহী জেলা সদরের নওদাপাড়া বড় বনগ্রামে অবস্থিত শিশু পার্ক রাজশাহী শহরের একটি অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। ছোট-বড় সব বয়সী মানুষের জন্য এখানে রয়েছে দেশি বিদেশি বিভিন্ন রাইড। সুবিস্তিত লেক ও নৌকা ভবনের ব্যবস্থা রয়েছে ২০০৬ সালে নির্মিত এ পার্কে । এই শিশু পার্ক শহীদ দিয়া শিশুপার কিছু প্রতিক পরিচিত। এই শিশু পার্কে আছে মেরিকো রাউন্ড, প্যাডেল বোর্ড, মিনি রেল কার,স্কাইবাই,সুপারসোইং, বাম্পার কার্, বাম্পার বোর্ড ,, 3 ডি মুভি থিয়েটার সহ ইত্যাদি সব ব্যবস্থা।

বাঘা মসজিদ

রাজশাহী শহর থেকে প্রায় 40 কিলোমিটার দূরে ঐতিহাসিক বাঘা মসজিদ অবস্থিত। ঐতিহাসিক এই মসজিদের চারপাশে চারটি এবং মাঝখানে দুই সারিতে মোট দশটি গম্বুজ রয়েছে।মসজিদের পূর্ব দিকে দরজা ছাড়াও উত্তর দক্ষিণের  দরজা গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাঘা মসজিদের ভেতরে এবং বাইরে প্রচুর পড়া মাটির ফলক দেখতে পাওয়া যায়।

মসজিদের ভিতরে উচ্চবেড়িতে একটি বিশেষ নামাজের কক্ষ রয়েছে। মসজিদের পূর্ব পাশে বিশাল একটি দিঘি লক্ষ্য করা যায়। রাজশাহী জেলার ভেতরে  যতগুলো দর্শনীয় স্থান রয়েছে তার মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় বাঘার এ মসজিদ টি। ঐতিহাসিক এই বাঘা মসজিদে দূরদূরান্ত থেকে ভিরজমাই  হাজারো ভ্রমনপ্রিয় মানুষেরা।

দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী/ উত্তরা গণভবন 

রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলা সদরে অবস্থিত দর্শনীয়  এই উত্তরা গণভবন। অনেকে আবার চিনে দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী নামে।এটি ছিল দীঘাপতিয়া রাজার বাসভবন। পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য অন্যতম এক দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এই দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী বা উত্তরা গণভবনটি।

নাটোর শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই প্রাসাদ। ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীঘাপতিয়া রাজবাড়িকে উত্তরা গণভবন নামে নামকরণ করেন।দূর দূরান্ত থেকে অনেক পর্যটক ঘুরতে আসে এই দীঘাপতিয়া রাজবাড়ি বা উত্তর ও গণভবনে। পিরামিড আকৃতির চারতলা বিশিষ্ট প্রবেশদ্বার এটি।

বিশালাকার এ রাজবাড়ীতে আছে দিঘি, বাগান,বোটালিয়ান গার্ডেন, চিড়িয়াখানা সহ আরো কত কি। উত্তরা গণভবন বসন্তের সময় নানা রকম সৌন্দর্য ধারণ করে। রাজশাহী জেলার ভিতরে যতগুলো দার্শনিয় স্থান রয়েছে তার মধ্যে আকর্ষণীয় ভাবে হাজারো দর্শনার্থীদের মনে জায়গা করে নিয়েছে এই উত্তরা গণভবনটি।
 
গণভবনে পর্যটকরা ঢুকলে যেন ফুলেরা তাদের মনামু মনমুগ্ধকর ঘ্রাণ দিয়ে শুভেচ্ছা জানাই। তাইতো গণভবনে প্রবেশ করেই পর্যটকরা ফুলের কাছে গিয়ে ছবি তোলা শুরু করেন। এই গণভবনে রয়েছে ছোট-বড় অনেক দৃষ্টিনন্দিত প্রাসাদ যা আপনাকে আকৃষ্ট করবে দারুণভাবে।

প্যারিস রোড রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 

নির্মল বাতাস সাথে পিচ ঢালা রাস্তা। সুবিশাল গগন শিরিষ গাছ রাস্তার দুই ধারে। গাছগুলো রাস্তাটিকে পরম আদরে মরিয়া রেখেছে।যেন একে অপরকে আলিঙ্গন করতে মরিয়া।গাছের সবুজ পাতার ফাঁক দিয়ে যেন সূর্যের আলো আছড়ে পড়ছে রাস্তার ওপর। যেন আলোছায়ার খেলায় প্রতিমা হয়ে জেগে উঠছে রাস্তাটি। বলছিলাম সৌন্দর্যমন্ডিত প্যারিস রোডের কথা।

প্যারিস রোড। নামটা শুনে হয়তো আপনারা ভাবছেন এটা ফ্রান্সের কোন রাস্তা। কিন্তু না এাট  ফ্রান্সের কোন রাস্তা না। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড। কাজলা থেকেই শেরে বাংলা হল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারের সুবিস্তৃত রাস্তা এটি। ৫০ বছরেরও বেশি পুরনো এ রাস্তাটি রাজশাহী বিশ্বিবিদ্যালয়ের অবকাঠামোর একটি অংশ।

বিভিন্ন ঋতুতে এ রাস্তার দৃশ্য পাল্টে যায়। বাসন্তের ঝরা পাতার দৃষ্টি, বর্ষায় পাতা ছুঁয়ে পড়া ফোঁটা ফোঁটা জল,কিংবা শীতের সকালে কুয়াশা মোড়ানোর রাস্তাটি সত্যিই মন ছুঁয়ে যায় ।তাইতো প্রতিদিন অনেক ভ্রমণ প্রেমি মানুষেরা ভির জমাই এ রাস্তাই ।

পুঠিয়া রাজবাড়ী 

রাজশাহী জেলার দর্শনীয় স্থান এর ভেতরে  অন্যতম  হল পুঠিয়া রাজবাড়ী যা  রাজশাহীতে অবস্থিত নজর করা স্থাপত্যগুলোর ভেতরে একটি অন্যান্য নিদর্শন। রাজশাহী শহর হতে ৩০ কিলোমিটার এবং রাজশাহী নাটোর মহাসড়ক হতে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে এই রাজবাড়ির অবস্থান।পুঠিয়া বহুকক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল পুঠিয়া রাজবাড়ীতে প্রবেশের জন্য উত্তর দিকে একটি সিংহ দরজা রয়েছে। 

জমিদার বা রাজারা এখান থেকে তাদের রাজকর্ম পরিচালনা করতেন। এখানে বেশ কয়েকটি পরীখা রয়েছে। এ রাজবাড়িতে শ্যামসাগর নামে একটি বিশাল পুকুর রয়েছে। দুটি প্রাসাদ ও জমিদারদের নির্মিত বেশ কয়েকটি মন্দির এখনো এখানে মাথা তুলে এখানে দাঁড়িয়ে আছে।

প্রাচিন আমলের অনেক পুরনো সব নিদর্শনগুলো এখানে সুন্দর ভাবে সংরক্ষিত রয়েছে । রাজা রানীদের এ রাজ প্রাসাদ দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমায় হাজারো দর্শণার্থ। তাইতো পুঠিয়া রাজবাড়ী রাজশাহী জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মাঝে অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান।

লালপুর গ্রীন ভ্যালি পার্ক  

বাংলাদেশের যত বড় বড় ও সুন্দর পার্ক রয়েছে তার ভিতরে অন্যতম গ্রীন ভ্যালি পার্ক। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাইড,ফুলের রাজ্য এবং সুইমিং পুল সহ অনেক কিছু। এ পার্কের মধ্যে রয়েছে মন মাতানো সিংহের বিশাল এক ঝর্ণা। এর মধ্যে রয়েছে বিশাল একটি রেস্টুরেন্ট যেখানে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সুলভ মূল্যে পাওয়া যায় ।

এখানে রয়েছে হিমালয়ের কাঞ্চনজঙ্খা পর্বতের মতো বিশাল এক বরফের পাহাড়। যার চারপাশ ধরে চোখ জুড়ানো সবুজে সমারোহ। একটি 9 ডি সিনেমা হলও এখানে রয়েছে। সুন্দর একটি ঝর্ণা রয়েছে এখানে। এখানে রয়েছে বিশাল একটি ব্রিজ। এখান থেকে দাঁড়িয়ে আপনি চারদিকের সবকিছুর সৌন্দর্যের সমারোহ দেখতে পাবেন। শুধু রাজশাহী নয়। বাংলাদেশের যত পার্ক রয়েছে তার মধ্যে সেরা একটি পার্ক হিসেবে দর্শনীয় স্থানগুলোর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে দারুণভাবে।

আরো পড়ুনঃ বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ - বান্দরবান কিসের জন্য বিখ্যাত 

তাইতো নাটোরের লালপুরের এই গ্রীন ভ্যালি পার্ক রাজশাহী জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মাঝে মনোমুগ্ধকর ও আকর্ষণীয় একটি দর্শনীয় স্থান। এখানে বিশাল একটি ফ্লাওয়ার হয়েছে।সবচেয়ে আকর্ষণীয় একটি লাভ tree রয়েছে এখানে,যেখানে দাঁড়িয়ে আপনি একটি সেলফি না তুলে আসতে পারবেন না। গ্রিন ভ্যালি পার্কের ঝুলন ফুলের রাস্তাটি বেশ জনপ্রিয় যা আপনাকে আকৃষ্ট করবে দারুণভাবে ।

পদ্মা গার্ডেন ও মুক্তমঞ্চ

রাজশাহী শহরের সাহেব বাজার এলাকায় পদ্মা গার্ডেন অবস্থিত। এখানকার পর্দা স্নিগ্ধ বাতাস আপনার মনকে রোমান্সিত করার জন্য যথেষ্ট।যে কারণে পদ্মা গার্ডেন রাজশাহীবাসীর জন্য বিনোদনের অন্যতম এক সেরা জায়গা। পদ্মা গার্ডেন থেকে পদ্মা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় দারুণভাবে। এর একপাশে রয়েছে রাজশাহী শহর ও অন্য পাশে রয়েছে পদ্মা নদী। 

পদ্মা নদীর ওপারে আবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। মুক্তমঞ্চ রাজশাহীবাসি ও রাজশাহীর বাইরের সব ধরনের মানুষের জন্য একদম উন্মুক্ত ও খোলামেলা একটি জায়গা। বিকেলের মুগ্ধ হওয়া কার না ভালো লাগে।এ খানকার স্নিগ্ধ হাওয়া ও শেষ বিকেলে আকাশে মেঘের ভেলা দেখতে ভিড় জমাই হাজারো মানুষ। যা আপনাকেও মুগ্ধ করবে দারুণভাবে। যে কারণে পদ্মা পাড়ের এই পদ্মা গার্ডেন ও মুক্ত মঞ্চ রাজশাহী জেলার ধর্ষণীয় স্থানগুলোর মাঝে সেরা একটি দর্শনীয় স্থান।

রাজশাহীর বিখ্যাত খাবার 

রাজশাহীর বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনি যদি রাজশাহী জেলা বহন করেন আর সেখানে গিয়ে যদি বিখ্যাত খাবারগুলো খেতে চান তাহলে আপনাকে এ বিষয়গুলো অনেক সাহায্য করবে। তরুণ কথা না বাড়িয়ে সরাসরি জেনে এসে যাক রাজশাহীর বিখ্যাত কিছু খাবার।
  • কালাই রুটিঃ রাজশাহী জেলাতে যে বিখ্যাত খাবার গুলো আছে তার ভেতর থেকে অন্যতম একটি হচ্ছে কালাই রুটি। চালের আঠার সাথে কিছু পরিমাণ কালাই মিক্সার করার মাধ্যমে এই কালার রুটি তৈরি করা হয়। আর এই কালাই রুটির সঙ্গে কিন্তু শুকনো মরিচের ভর্তা, বেগুন ভর্তা, মাংস ভুনা,শুকনো মরিচের ভর্তা সহ আরো অনেক সুস্বাদু মসলা জাতীয় উপাদান মিশে কিন্তু কালায়ের রুটি পরিবেশন করা হয়ে থাকে। রাসেল এই কালাই রুটি যদি আপনি একবার খান তাহলে কিন্তু যতবার আপনি রাজশাহী আসবেন প্রতিবারই খেতে চাইবেন।
  • বড পরোটাঃ ডট পরোটা রাজশাহীর অন্যতম একটি বিখ্যাত খাবার। গরম গরম এই বট পরোটা খেতে রাজশাহীর রাস্তাগুলোতে ভিড় জমায় হাজারো মানুষ। তবে বিশ্বাস করে রাজশাহীর তালাইমার স্থানের যে জামিলের দোকান আছে সেখানকার ডট পরোটা কিন্তু অনেক বেশি জনপ্রিয়।
  • রাজশাহীর কালো ভুনাঃ কালা ভুনা হচ্ছে রাজশাহী যার অন্যতম একটি বিখ্যাত খাবার। রাজশাহের বিভিন্ন স্থানে কালা ভুনা পাওয়া যায় তবে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে একতা হোটেলের কালা ভুনা।
  • বাটার মোড়ের জিলাপিঃ রাজশাহীতে থাকা বিখ্যাত সব খাবার তালিকাতে অন্যতম একটি স্থান দখল করে নিয়েছে বাটার মোড়ে জিলাপি। এই জেলাপের স্বাদ অনেক বেশি এবং আপনার মুখে লেগে থাকবে দারুণভাবে। রাজশাহী সাহেব বাজারের গণকপাড়া থেকে এই বাটার মোরের দূরত্ব প্রায় 200 গজ দূরে।
  • ফুলতলার চটপটিঃ আমরা অনেকেই বিভিন্নভাবে চটপটি চেয়ে থাকি তবে রাজশাহীর ফুলতলার চটপটি কিন্তু অনেক বেশি সুস্বাদু। আপনি যদি কখনো রাজশাহীতে আসেন তাহলে কিন্তু চটপটি খেতে ভুলবেন না আর এই চটপটি খেতেও যেমন সুস্থ ঠিক তেমনি দামেও কম।

রাজশাহীর বিখ্যাত মিষ্টি

রাজশাহী শহর সৌন্দর্যের দিক দিয়ে যেমন অনেক এগিয়ে ঠিক তেমনি এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের মিষ্টিও পেয়ে যাবেন যেগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু এবং গুনে মানে অসাধারণ। বিশেষ করে রাজশাহী সিএনবি মরে যেতে হবে মিষ্টিগুলো পাওয়া যায় এগুলো কিন্তু চমৎকার এবং অন্যতম একটি স্বাদ রয়েছে কারণ এগুলো কিন্তু গরম অবস্থাতে পরিবেশন করা হয়ে থাকে।

এছাড়াও রাজশাহী জেলাতে আরো অনেক ধরনের মিষ্টি আপনি পেয়ে যাবেন খেতে অনেক সুস্বাদু এবং জনপ্রিয়র তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। রাজশাহীর জনপ্রিয় কিছু মিষ্টান্ন ভান্ডার রয়েছে যেমন। - রাজশাহী মিষ্টান্ন ভান্ডার, মৌচাক, নবরূপ,বেলি ফুল, রসকদম, মিষ্টি বাড়ি এবং মিষ্টি মহল ইত্যাদি। উপরে যে মিষ্টি ভান্ডারের নামগুলো আপনারা শুনলেন এদের ভেতর থেকে সবথেকে ভালো এবং সুস্বাদু মিষ্টি কিন্তু পাওয়া যায় রাজশাহী মিষ্টান্ন ভান্ডারে।

রাজশাহীর যে সকল বিখ্যাত মিষ্টি আছে তার ভেতর থেকে অন্যতম একটি জনপ্রিয় মিষ্টি কিন্তু কমলাভোগ। যা দেখতে অনেক কিন্তু কমলা ফুলের মত এবং খেতেও অনেক সুস্বাদু। এছাড়াও রাজশাহী নবরূপ মিষ্টি ভান্ডারে যে মিষ্টিগুলো পাওয়া যায় তার ভেতর থেকে অন্যতম একটি হচ্ছে ছানার কালো জাম যেটা আমাদের সকলের প্রিয়।

এছাড়াও কিন্তু রাজশাহীতে আরো অনেক মিষ্টি পাওয়া যায় তবে ছানা এবং ময়দা সহ গোলাপ জলের মাধ্যমে তৈরি কিন্তু এই কালোজাম মিষ্টি আমাদের সকলেরই পছন্দের তালিকাতে শীর্ষে থাকে। আর প্রতি কেজি এই মিষ্টির সাধারণত ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। রাজশাহীতে যে মিষ্টিগুলো সব থেকে বেশি প্রিয় তার ভেতর থেকে আরও অন্যতম একটি হচ্ছে রাজশাহীর হোবা ঘোষের মিষ্টি।

প্রজন্মের পর প্রজন্ম থেকে লোকমুখে এই মিষ্টি বেশ পরিচিত লাভ পেয়েছে যা খেতে অনেক সুস্বাদু। সাধারণত দুধ ছানা এবং চিনিসহ আর একাধিক মিশ্রণ তৈরি লিখিত এই মিষ্টিগুলো আমরা পাউরুটির যে সচরাচর খেতে পছন্দ করে থাকি।

শেষ কথা

দর্শনীয় স্থানগুলো সত্যিই অনেক সুন্দর ও অসাধারণ হয়ে থাকে। তাদের এসব সৌন্দর্যের জন্যইস্থানগুলো দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। একজন ভ্রমণপ্রেমি হিসেবে আপনার জন্য যে স্থানগুলো সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি এ পোস্টের মাধ্যমে আপনি এ বিষয় গুলো ও দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলেন।

প্রিয় পাঠক,এতক্ষণ তো রাজশাহী জেলার দর্শনীয় স্থান  সম্পর্কে অনেক কিছুই জানলেন। এ পোস্টি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে কিংবা এ পোস্টের মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর হ্যা, এমন সব বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে অবশ্যই নিয়মিত ভিজিড করুন আমাদের WWW.multiplebd.com ওয়েবসাইটটি।কারণ আমরা নিয়মিত এ ওয়েবসাইটে নিত্যনতুন পোস্ট লিখে থাকি। । ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url