কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা ২০২৫ ও যাওয়ার উপায়

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত আলোচনা করব। এজন্য আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডায় যেতে চান তাহলে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা এবং স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে চলুন জেনে আসা যাক।
multiplebd-কানাডা-স্টুডেন্ট-ভিসা-যোগ্যতা
অনেকের স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যাওয়ার স্বপ্ন থাকলেও সঠিক গাইডলাইন এবং যোগ্যতা না থাকার কারণে যেতে পারেনা। যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত তুলে ধরব আমাদের আজকে এই আলোচনায়।.

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৫ 

সর্বপ্রথম আপনাকে কানাডায় যে বিশ্ববিদ্যালয় অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আপনি পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন এটা আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে এবং সেখানে পড়াশোনা করার সুযোগ সুবিধা কি বিষয়গুলো আপনাকে যাচাই বাছাই করতে হবে। আপনি যদি ইচ্ছে করেন কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় যাবেন তাহলে অবশ্যই সেখানকার স্টাডি পারমিট আপনার দরকার হবে।

যেটা কানাডায় থাকাকালীন সময়ে স্টাডি পারমিট আপনার স্টুডেন্ট ভিসা হিসেবে কাজ করবে। অনেকে ভেবে থাকেন যে কানাডা সরকার স্টুডেন্ট ভিসা নামে এক ধরনের ভিসা দেয় তবে বিষয়টি এমন না। মূলত স্টাডি পারমিট কানাডিয়ান সরকার দিয়ে থাকে যেটাকে স্টুডেন্ট ভিসা বলা হয়ে থাকে। আর এই স্টাডি পারমিট এর মেয়াদ কত থাকবে এটা মূলত নির্ভর করে আপনি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে খোঁজ করছেন তার ওপরে।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা থাকলে খুব সহজে কিন্তু আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন। কানাডা যদি আপনার পরিবারের কোনো সদস্য থাকে তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে স্টাডি পারমিট নিতে হবে না সে ক্ষেত্রে আপনি স্টাডি পারমিট ছাড়াও কিন্তু খুব সহজে যেতে পারবেন।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা

স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যাওয়া এটা অনেক স্বপ্নের। আর এই স্বপ্নকে যদি বাস্তবে রূপদান দিতে হয় তাহলে কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হলে অবশ্যই আপনার কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। তাই আর্টিকেলের শুরুতেই আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নিব কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা সম্পর্কে। নিচে উল্লেখিত এ সকল যোগ্যতা যদি আপনার থেকে থাকে।

এবং আপনি যদি আর্থিক ও শিক্ষাগত ও ভাষাগত দিক থেকে সামর্থ্যবান হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা আরো অনেক সহজ হয়ে যাবে। চলুন জেনে আসা যাক কানাটাই স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হলে যোগ্যতা কি কি।
  • সর্বপ্রথম ডি এল আই থেকে আপনার ভর্তি নিষেধ করন হতে হবে অর্থাৎ একটু অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে আপনার ভর্তির অফারটি লেটারে পেতে হবে।
  • কানাডায় যেতে যেহেতু অনেক অর্থের প্রয়োজন হয় সেও তো আপনার আর্থিক অবস্থা ভালোও হতে হবে অর্থাৎ আপনার পড়াশুনা এবং দৈনন্দিন জীবনের যে খরচ সেগুলো মেটাতে আপনাকে আর্থিকভাবে সফল হতে হবে।
  • শুধু যে টাকা থাকলে আপনি কালারের স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন বিষয়টি এমন না বরং আপনার প্রয়োজন হবে কিছু ভাষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি শিক্ষার সার্টিফিকেট।
  • বিশেষ করে ফরাসি এবং ইংরেজি ভাষায় আপনাকে দক্ষ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। এজন্য আপনার IELTS এর হতে হবে ন্যূনতম ৬.৫।
  • আপনার যে সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে সেগুলোর সার্টিফিকেট থাকতে হবে এর পাশাপাশি কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া একাডেমিক প্রশংসা পত্র নিতে হবে। অবশ্যই আপনার এসএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার সনদপত্র থাকতে হবে।
  • প্রতিটা দেশে যাওয়ার জন্য যেহেতু একটা নীতি আছে সেজন্য আপনাকে বৈধভাবে পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে যেটার অন্তত ছয় মাস মেয়াদ থাকবে।
  • আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন থাকতে হবে।
  • আপনি কানাডা যাওয়ার জন্য শারীরিকভাবে ফিট কিনা এটার জন্য আপনাকে মেডিকেল করতে হবে অর্থাৎ আপনার মেডিকেল রিপোর্টটি দরকার হবে।
  • এগুলোর পাশাপাশি সর্বশেষ আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দরকার হবে অর্থাৎ কানাডায় যদি স্টুডেন্ট তাহলে এক্ষেত্রে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে হবে। কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা থেকে থাকলে সহজে কিন্তু আপনি কানাডায় পড়াশোনা করতে যেতে পারবেন। 

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত

আপনারা যারা কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসাতে যেতে চাচ্ছেন তাহলে এক্ষেত্রে খরচ কেমন পড়তে পারে এ বিষয়টি সম্পর্কে যদি আপনার ধারণা না থেকে থাকে তাহলে চলুন জেনে নিন স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডাতে যেতে হলে খরচ কেমন আসতে পারে। মূলত বাংলাদেশ থেকে আপনি কানাডা যেতে পারবেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি ভিসা সহ বিজনেস ভিসা ও টুরিস্ট ভিসাতে।

এক এক ধরনের ভিসার জন্য একেক ধরনের খরচ হয়ে থাকে। আপনি যত স্টুডেন্ট ভিসাতে কানাডা যেতে চাচ্ছেন তাহলে এক্ষেত্রে আপনার খরচ আসতে পারে ৫ লক্ষ্য থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে হ্যাঁ এক্ষেত্রে আপনি যদি স্কলারশিপ পেয়ে যান তাহলে স্কলারশিপ নিয়ে কানাডায় গেলে আপনার খরচ কিন্তু অনেকটাই কম হবে।

আর আপনি যদি ভেবে থাকেন ওয়াল প্রাইভেট ভিসাতে কানাডা যাবেন তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ৮ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা অসুবিধা

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজেই কানাটাই স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন। স্টুডেন্ট ভিসায় কানাটা গেলে কি কি সুযোগ সুবিধা আছে এ বিষয়গুলো জেনে যদি আপনি কানাডা যান তাহলে কানাডা যাওয়ার পরে এ বিষয়গুলো আপনাকে সাহায্য করবে। চলুন তাহলে পর্যায়ক্রমে আমরা আর্টিকেলের নিচের অংশে বিস্তারিতভাবে জেনে আসি কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে।

সুবিধা সমূহঃ

  • উচ্চমানের শিক্ষাঃ কান্নাডা তে যত আপনি স্টুডেন্ট ভিসা দেবেন তারমানে আপনার উদ্দেশ্যে হচ্ছে পড়াশোনার যে কারনে আপনি কিন্তু উচ্চমানের শিক্ষা সেখানে পেয়ে যাবেন। কানাডাতে যে সকল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আছে তা কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যে কারণে আপনি যদি পড়াশোনা করার জন্য কান্নাটা যেতে চান তাহলে আপনাকে আর ফিরে দেখতে হবে না ইনশাল্লাহ।
  • পরিষ্কার পরিবেশঃ অন্যতম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর একটি দেশ কানাডা। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি এখানে আপনি কিন্তু সুন্দর পরিবেশ পেয়ে যাবেন। কানাডার এ সকল প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো আপনার মন আকৃষ্ট করবে দারুন ভাবে ।
  • কাজের সুযোগঃ আপনারা কিন্তু কানাডাতে স্টুডেন্ট ভিসার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পার্ট টাইম কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাবেন অর্থাৎ পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের খরচ কিন্তু চালিয়ে নিতে পারবে বিভিন্ন ধরনের পার্ট টাইম জব করার মাধ্যমে।
  • স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সুযোগঃ কানাডায় পড়াশোনা শেষ করার পাশাপাশি আপনি কিন্তু সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ারও সুযোগ পেয়ে যাবেন।
  • নিরাপদ পরিবেশঃ কানাডাতে বসবাস করার জন্য আপনি কিন্তু সর্বাধিক নিরাপত্তা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পেয়ে যাবেন যেটা একটা শিক্ষার্থীর জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
  • বহু সংস্কৃতির দেশঃ কানাডাতে আপনি বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতির মানুষের সাথে মেলামেশা করতে পারবেন যা একটা শিক্ষার্থীর জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা এবং আপনার সংস্কৃতির বিকাশ এবং বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতির মানুষের সাথে মিশার সুযোগ দিবে।

অসুবিধাসমূহ

  • জীবনযাত্রার খরচ উচ্চঃ কানাডাতে গিয়ে আপনি যতই বড় কোন শহরে থাকেন যেমন টরেন্টো এই শহরের জীবনযাত্রার খরচ কিন্তু তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেশি হয়ে থাকে যে কারণে কানাডাতে গিয়ে আপনার খরচ একটু বেশি হবে।
  • মেডিকেল ইন্সুরেন্স খরচঃ বিভিন্ন প্রদেশে কিন্তু মেডিকেল ইন্সুরেন্স করা বাধ্যতামূলক হয়ে থাকে যে কারণে এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত একটি খরচ হতে পারে।
  • ইন্সট্রুমেন্ট ভিসা প্রক্রিয়ায় জটিলতাঃ ভিসা প্রক্রিয়া সিস্টেমে একটু জটিলতা হতে পারে এজন্য আপনি যদি সঠিকভাবে আবেদন করে না থাকেন এবং প্রচেষ্টা যদি আপনার না থাকে তাহলে কিন্তু এটা আপনার জন্য একটি অসুবিধা স্বরূপ।
  • ঠান্ডা আবহাওয়াঃ গরম জলবায়ুতে যদি আপনি অভ্যস্ত থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু কানাডা ঠান্ডা আবহাওয়া আপনার জন্য একটু অসুবিধা মনে হতে পারে কারণ কানাডায় শীতকালে কিন্তু অনেক বেশি ঠান্ডা পড়ে।
  • ভাষার বাধাঃ কানাডায় গিয়ে আপনি বাংলা ভাষায় কথা বললে কেউ বুঝবে না এবং আপনার কোন উপকারে আসবে না যে কারণে সেখানে আপনি যদি ফরাসি অথবা ইংরেজি বলতে না পারেন তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

কানাডা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে

কেউ যদি কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসাতে যেতে চাই তাহলে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা হিসেবে যেগুলো থাকতে হবে তার ভেতর থেকে অন্যতম একটি হচ্ছে ielts পয়েন্ট। আপনি যদি না জেনে থাকেন কত পয়েন্ট হলে আপনি কানাটা যেতে পারবেন তাহলে চিন্তার কারণেই কারণ এখন আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব কত পয়েন্ট হলে আপনি যেতে পারবেন।

তার আগে বলে রাখি আপনি যদি শুধুমাত্র ওয়ার্ক পারমিট অথবা স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডায় যেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু আপনার Ielts স্কোর প্রয়োজন হবে যেটা আর অন্য কোন বিচার ক্ষেত্রে দরকার হবে না। এজন্য আপনি যদি স্টুডেন্ট পারমিট নিয়ে কানাডা যেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনার বাধ্যতামূলক নূন্যতম Ielts পয়েন্ট থাকতে হবে ৬.৫।

এর পাশাপাশি আপনি যদি কানাডায় গিয়ে চাকরি করতে চান অর্থাৎ চাকরি করার জন্য কানাডায় যেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ন্যূনতম Ielts ৬ পয়েন্ট থাকতে হবে।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট

আপনারা যারা কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসাতে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য কিন্তু আলাদা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট বিষয়টি আমরা এখন আলোচনা করব। প্রথমে বলে রাখি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট আপনাকে দেখাতে হবে।

কারণ যেহেতু আপনি কানাডায় যাবেন এজন্য আপনার পড়াশোনার খরচ সেখানে থাকা খাওয়া এবং চিকিৎসা খরচ বাবদ আরো অনেক খরচ হবে যে কারণে আপনাকে সর্বনিম্ন টাকা ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। অনেকে দেখা যায় ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর অন্যতম পরিমাণ দেখাতে পারো না যে কারণে তাদের কিন্তু ভিসা রিজেক্ট হয়ে যায়।

আপনি যদি স্কলারশিপ স্টুডেন্টদের সাথে আবেদন করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে সর্বনিম্ন ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। আর কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্টের যে সকল বিষয়গুলো দেখাতে হয় চলুন এ বিষয়টি নিচের দিকে জেনে আসা যাক। তবে হ্যাঁ থেকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে কানাডায় যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা থাকতে হবে।

ব্যাংক স্টেটমেন্টে যা দেখাতে হয়

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্টে আপনাকে নিচের উল্লেখিত এ সকল লেনদেন সম্পর্কিত অর্থাৎ স্টেটমেন্ট গুলো দেখাতে হবে যেমন-
  • টিউশনি ফিঃ কোষ কমপ্লিট করার জন্য আপনার যেমন টিউশন ফি দরকার হতে পারে।
  • ফান্ডের উৎসঃ আপনার যদি কোন ফান্ড থেকে থাকে অর্থাৎ কোন স্পন্সর তাহলে সেই স্পন্সরের যে ফান্ডের উৎস আছে এটা দেখাতে হবে।
  • বাসস্থান খরচঃ কানাডা থাকার জন্য আপনার যে বাসস্থান খরচ হবে।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্টেঃ আপনাকে সাধারণত কমপক্ষে হলেও চার মাসের লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য গুলো দেখাতে হবে এ ছাড়া প্রযুক্ত ব্যালেন্স থাকতে হবে যেটা দিয়ে আপনি আত্মিকভাবে সক্ষম থাকতে পারবেন।

স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যাওয়ার উপায়

আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আমরা ইতিমধ্যে বিস্তারিতভাবে জেনেছি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা। কিছুক্ষণ যোগ্যতা যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে কিভাবে আপনি স্টুডেন্ট ভিসা থেকে কানাডাতে যেতে পারবেন চলুন এ বিষয়গুলো এবার জেনে আসা যাক।
  • স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যেতে হলে যোগ্যতা থাকার পাশাপাশি যে সকল কাগজপত্র দরকার হবে কাগজপত্রগুলো আপনাকে কিন্তু জোগাড় করে রাখতে হবে।
  • কানাডার যে বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কলেজ থেকে আপনি এডমিশন নিবেন তার লেটার এবং সনদপত্র সহ আপনার জন্ম সহ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সহ একাধিক তথ্য স্টেটমেন্ট জরুরী।
  • সবগুলো কাগজপত্র যদি সংগ্রহ হয়ে যায় তাহলে আপনাকে এবার ভিসা তার জন্য আবেদন করতে হবে এবং আবেদনে আপনাকে সবগুলো তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
  • স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যাওয়ার জন্য আপনাকে ফোন করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো যুক্ত করতে হবে।
  • এক কথায় বলতে গেলে এ টু জেড যে ফর্মগুলো আছে সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং আপনাকে আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে।
  • অর্থাৎ আপনার যিনি স্পন্সর তার আয়ের উৎস কি এবং বাৎসরিক আয় কেমন ইত্যাদির বিষয়ে গুলো দেখাতে হবে।
  • সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনি কানাডা ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন করে থাকলে এবং সঠিকভাবে তা যদি গ্রহণযোগ্য হয়ে যায় তাহলে আপনি কিন্তু কানাডা যেতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে আপনি যদি স্কলারশিপ পেয়ে যান তাহলে এটা আপনার জন্য আরো সহজ হয়ে দাঁড়াবে।

কানাডা যাওয়ার জন্য কত বছর বয়স লাগে

আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছিলেন যে কথাটা যাওয়ার জন্য কত বছর বয়স হতে হবে তাই চলুন এ বিষয়ে সম্পর্কে জেনে আসা যাক। আপনি যদি টুরিস্ট ভিসাতে কানাডা যেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে বয়স খুব একটা ম্যাটার করে না কিন্তু আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসাতে কানাডা যেতে চান কিংবা স্টাডি পারমিট নিয়ে কানাডা যেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন 18 বছর।

আর এক্ষেত্রে আপনি যদি ওয়ার্ড পারমিট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার বয়স হওয়া লাগবে সর্বনিম্ন ২১ বছর। আশা করছি বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য কত সময় লাগে

আপনি যদি ভেবে থাকেন কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন করলেন আর সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যাবেন বিষয়টি কিন্তু এমন না বরং কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করতে একটু সময় বেশি দরকার হয়। এজন্য আপনার কাগজ পাতি যদি ঠিক থাকে আর আপনি যদি সঠিকভাবে আবেদন করে থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা হতে আপনার সময় লাগবে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন মাস এর মত।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা শেষ কথা 

কেউ পাঠক বন্ধুরা নিশ্চয়ই আপনারা জেনেছেন যে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা কি কি থাকতে হবে। এছাড়া আমরা আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি ভিসা সম্পর্কিত তথ্য এবং ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ একাধিক বিষয় নিয়ে। তাই বলতে চাই আপনি যদি কানাডায় যেতে চান তাহলে অবশ্যই এই কাগজগুলোর সঙ্গে নেবেন এবং ভাল ভাবে ফর্মালিটিগুলো পূরণ করবেন।

আর হ্যাঁ আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন আর এ ধরনের তথ্য গুলো আপনি নিয়মিত পেতে চাইলে আমাদের www.multiplebd.com এই ওয়েবসাইটের সঙ্গেই থাকুন। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url